মাত্র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশে এসেছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার পর এটাই ছিল প্রথম কোনো সিরিজ। সেই সিরিজে জস বাটলারের দল বাংলাদেশের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়।






বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নজিরবিহীন সেই সাফল্যের পরও টাইগাররা মাটিতেই পা রাখছে। আর তাই আইরিশদের হালকাভাবে নিতে নারাজ বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ড সিরিজে টাইগাররা যেভাবে খেলেছে, এই সিরিজেও ঠিক সেরকম পারফরম্যান্সই চান জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাই না।
একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। আমাদের মতো খেললে আমরা খুবই ভালো দল। ছেলেদের কাছে এখন এটাই চাওয়ার আছে। তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রতিদিনই উন্নতি করছে।’






হাথুরুসিংহের অধীনে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল নতুন যুগে প্রবেশ করেছে- এমনটি বলাবলি হচ্ছে। তবে হাথুরু তার সময়টাকে নতুন যুগ বলতে নারাজ।
খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট বের করে আনতে পারলেই যেন বাঁচেন তিনি। হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি জানি না এটা নতুন যুগ কি না।
আমি এটাকে নতুন যুগ হিসেবে দেখছি না। আমরা এভাবেই খেলে যেতে চাই। আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে আগেও বলেছি, আগ্রাসী ক্রিকেট মানে এই না ক্রিজে গিয়েই প্রথম বল থেকে জোরে মারা।






সব দিক থেকেই আগ্রাসী হতে হবে। সিলেকশন, ফিল্ড প্লেসিং, ফিল্ডিং, বডি ল্যাংগুয়েজ সব কিছুই আগ্রাসী হতে হবে। আগ্রাসন ও স্বাধীনতা নিয়ে খেললে বাংলাদেশ দল সবসময় ভালো করে।’
আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা সহজ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘নাহ। কোনো ক্রিকেটই এত সোজা না।






আমরা এটা ক্যারিয়ারের একদম প্রথম দিকে টের পেয়েছিলাম। এক্সিবিশন ম্যাচ খেলাও সহজ নয়। এ কারণেই এই খেলাটাকে আমরা ভালোবাসি।
আমরা সব প্রতিপক্ষকে একইভাবে মূল্যায়ন করি। তাদের আমরা সম্মান করি। তবে ভয় পাই না। এটাই আমাদের মন্ত্র। আমরা আমাদের সেরাটাই চেষ্টা করব।
সেই দিনটায় তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেললে আমরা তাদের স্যালুট জানাই, তাদের কাছ থেকে শিখি।’





