আবু ধাবির টোলেরেন্স ওভালে দারুণ বোলিংয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নাগালের মধ্যে থামান রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ এবং মারুফ মৃধা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কাজটা সহজ করে দেন জিসান আলম। দলীয় প্রচেষ্টাতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
টুর্নামেন্টে প্রথম দুই ম্যাচই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর টানা দুই জয়ও তুলে নেয় লাল-সবুজের দল। যদিও চার ম্যাচে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন তাদের ফাইনাল খেলা বা না খেলা নির্ভর করছে স্বাগতিক আফগানিস্তানের ওপর।
গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে ২৮ মার্চ লড়বে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচটিতে আফগানরা জিতলেই কেবল ফাইনাল খেলতে পারবে বাংলাদেশ।
৪ পয়েন্ট নিয়ে ভালো নেট রান রেটের সুবাদে এরই মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে আফগানদের। আর তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট আছে শ্রীলঙ্কার। যদিও নেট রান রেটে এগিয়ে বাংলাদেশই।
বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াইয়ে এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। যদিও বর্ষণ এবং মারুফের অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ৬১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
সেখান থেকে দলটিকে টেনে তোলেন দিনুরা কালুপাহানার ও হিরান জয়াসুন্দরা। দিনুরার ব্যাটে আসে ৪৯ রানের ইনিংস। আর হিরান করেন ৩৫ রান।
তারপর আরেকটি জুটি বাধেন বিশ্ব রাজাপাকসা ও মালশা থারুপাথি। বিশ্বর ব্যাটে আসে ২৫ রান। শেষদিকে মালশার ৩৭ বলে ৪৬ রান করলে দুইশ ছাড়ায় লঙ্কানদের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন বর্ষণ এবং মারুফ। ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৭.৫ ওভারের মধ্যেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় দলের ভিত গড়ে দেন জিসান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই ৫০ রান পার করে বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলের রান যখন ৬৬, তখন প্যাভিলিয়নে ফিরেন জিসান।
মাত্র ৩২ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ে ততক্ষণে ৬২ রান করে ফেলেছেন তিনি। আরেকপ্রান্ত ধরে অনেকক্ষণ উইকেটে থাকেন আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান।
৩০ তম ওভারে যখন তিনি ফিরে যান তখন তার নামের পাশে ৬৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস। যদিও এর আগেই বিদায় নেন শাহরিয়ার সাকিব (৩) এবং আরিফুল ইসলাম (২২)।
বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক আহরার। পঞ্চম উইকেটে শিহাব জেমসের সঙ্গে ৫৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। শিহাব অবশ্য ২৬ রান করে ফিরে যান।
তবে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আহরার। ১৬ বলে ২১ রান করে তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন মাহফুজুর রহমান। এই জয়ে নিশ্চিতভাবেই ফাইনালের আশা বেঁচে থাকল বাংলাদেশের।